আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আশিয়ান সিটি বিষয়ে হাইকোর্টের রিভিউর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত।
৭ আগস্ট সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবির। আশিয়ান সিটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।
এ রায়ের ফলে আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আগের রায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশিয়ান সিটির রাজধানীর উত্তরখান, দক্ষিণখানসহ চারটি মৌজায় সকল প্লট বিক্রি ও উন্নয়নসহ সকল কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ২০০৬ সালে উত্তরার উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় আশিয়ান সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি জমি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা ও অনুমোদন না নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বরে একটি রিট করা হয়।
জনস্বার্থে রিটটি করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন।
২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি আশিয়ান সিটি প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৫ সালে এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আশিয়ান সিটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একটি আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় বাতিল করেন।
