আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে প্রস্তুতিমূলক সভা চলাকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব ও কমিশনার রফিকুল ইসলাম রাসেলসহ দলের একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
রবিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলা মটরের একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নেতারা হলেন- মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম শামসুল হুদা এবং সহ-সভাপতি মোঃ ইউনুস মৃধা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কে এম জোবায়ের এজাজ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন; সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পটু, কমিশনার রফিকুল ইসলাম রাসেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির আহমেদ রবিনসহ ১৭ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, বাংলামোটর রুপায়ন টাওয়ারে গোপন বৈঠক করার সময় তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গোপন বৈঠকের কারণ জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া আটককৃতদের অধিকাংশই বিভিন্ন মামলার আসামি। এদিকে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে নিঃশেষ করে ফেলছে। জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সরকার অমানবিক ও অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে। জনগণকে ভয় দেখাতে তারা সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতে নিষ্ঠুরতার শেষ সীমানা অতিক্রম করেছে। ভয়াবহ দুঃশাসনে জনগণের ক্ষোভকে দমন-পীড়নের মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে উন্মাদ হয়ে গেছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি এবং বিরোধী দলসমূহের নেতাকর্মীদের ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কণ্টকমুক্ত করার মাধ্যমে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের লাগাতার গ্রেফতার ও নির্যাতন নিপীড়নকে সর্বব্যাপী করে তুলেছে সরকার। এ নির্যাতন ক্রমাগত তীব্র থেকে তীব্রতর করা হচ্ছে। সরকারের নির্দয়-নিষ্ঠুর আচরণে এটি সুস্পষ্ট যে, তারা জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।