কিছুটা হিমেল হাওয়া সন্ধ্যার পর থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তেজ যেন সারা শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো দশা। রাজধানী ঢাকায় ভরদুপুরে নগরবাসীর ঘাম ঝরছে। অথচ এখন বাংলার কার্তিক মাস। বুধবার শুরু হবে অগ্রহায়ণ। মধ্য হেমন্তে এসেও ঢাকাবাসী লেপ-কাঁথা হয়তো তুলে রাখা আছে।
গত মাসের শেষ দিকে কিছুটা ঠান্ডা পড়েছিল রাজধানীতে। এর সঙ্গে ছিল খানিকটা কুয়াশা। এরপর থেকে শীত যেন সূর্যের লুকিয়ে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দুদিনের ব্যবধানে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার ১১ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সোমবার সকালে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই দিনের ব্যবধানের প্রায় দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। অথচ দেশের অন্যান্য এলাকায় গরমের মাত্রা কমে আসছে। ১১ অক্টোবর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৪। আজ সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এইজন্য প্রশ্ন হলো ঢাকায় গরম পড়ছে কেন?
আবহাওয়াবিদদের মতে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে এখন গরম পড়ছে। লঘুচাপটি দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর–পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। লঘুচাপ থাকলে জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয়ে স্থলভাগের দিকে চলে আসে। এর ফলে শরীরে গরম ভাব অনুভব হয়। এসব কথা জানিয়ে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে কুয়াশা কমে যায়। রাজধানীতে গাছপালা কম থাকায় গরম একটু বেশি লাগে। এ ছাড়া রাজপথে প্রচুর যানবাহন থাকায় ধূলিকণা ছড়িয়ে পড়ে। একটা ঘোলাটে ভাব থাকে বাতাসে। এর সঙ্গে নগরীতে অফিস আদালত, পোশাক কারখানা বেশি রয়েছে। এ জন্য শীত কম লাগে।
তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। বৃষ্টি হলে শীত পড়তে পারে।