দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রবণ কুমার ভট্টাচার্য জানান, উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, কোচিং সেন্টারের মালিক বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক। যারা কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের বিষয়গুলো দুদক খতিয়ে দেখবে।
তিনি জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নিশ্চিত করতে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে সুপালিশমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা অনুসারে বদলি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোনো অবস্থাতেই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের সংযুক্তির মাধ্যমে প্রশাসনিক কোন পদে বা ঢাকার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করা উচিত নয় বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়।
তিনি জানান, প্রশ্নপত্র আমূল সংস্কার করা প্রয়োজন: যেমন পরীক্ষায় বহু নির্বাচনি প্রশ্নপত্র সম্পূর্ণ বাদ দেয়া প্রয়োজন। প্রশ্ন হতে পারে বর্ণনামূলক, সৃজনশীল এবং বিশ্লেষণধর্মী।
সরকার প্রণীত কোচিং নীতিমালার বাইরে যে সকল শিক্ষক কোচিং করাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সুপালিমালায় উল্লেখ করা হয়।
শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যে নিয়মিত মাসিক সভা অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেছে দুদক।
শিক্ষাখাতে দুর্নীতি নিরসনের জন্য গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবরে ৩৯টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে দুদক। এরমধ্যে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ৮টি সুপারিশ রয়েছে।
এসব সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে প্রেরণ করা হয়।