রাম- রাবণ যুদ্ধ, সীতার বনবাস ও অগ্নিপরীক্ষাঃ রামায়ণের সহজ কাহিনী

0
প্রতিশোধ নিতে সীতাকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে রাবণ

কোশল রাজ্যে ছিল এক রাজা, নাম তার দশরথ। তিন রাজ্যের তিন রাজকন্যা ছিল রাজার তিন স্ত্রী- কোশল রাজকন্যা কৌশল্যা, কেকয় রাজকন্যা কৈকেয়ী আর সিংহলের রাজকন্যা সুমিত্রা। তিন তিনটি স্ত্রী থাকলেও কোন সন্তান হচ্ছিল না রাজা দশরথের। মুনির নির্দেশে পুত্র সন্তানের জন্য পুত্রেষ্টি যজ্ঞ আয়োজন করেন রাজা দশরথ। যজ্ঞ থেকে একটা ফল লাভ করেন যজ্ঞের মুনি ঋষ্যশৃঙ্গ, সেই ফল রাজাকে দিয়ে তার পত্নীদের খাওয়াতে বলেন তিনি। সেই মোতাবেক রাজা ফল নিয়ে দুই ভাগ করে তার প্রধান দুই রানী কৌশল্য আর কৈকেয়ীকে খেতে দেন। কিন্তু সুমিত্রাকে পুত্রলাভের ফল  দেয়া হল না, দুঃখে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাণী। ছোট রাণীর কান্নাকাটি দেখে কৌশল্যার দয়া হয়। নিজের ফল দু’ভাগ করে একভাগ সুমিত্রাকে দেন তিনি। যথাসময়ে কৌশল্যার গর্ভে রাম, কৈকেয়ীর গর্ভে ভরত এবং সুমিত্রার গর্ভে লক্ষ্মণ আর শত্রুঘ্ন নামে দুই যমজ পুত্রের জন্ম হয়। ঠিক সেই সময় রাবণ নামে এক রাক্ষসরাজ প্রচণ্ড প্রতাপে লংকায় রাজত্ব করছিল। ব্রহ্মার বরে অমর হয়েছিল সে। মূলত রাক্ষসরাজকে হত্যার জন্যই কৌশল্যার গর্ভে মানুষ রূপ ধারণ করে জন্ম নিয়েছেন বিষ্ণু। কারণ, ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত রাবণকে খুন করতে পারবে শুধুমাত্র কোন মানুষ।

অস্ত্রবিদ্যা ও শাস্ত্রবিদ্যা- উভয় ক্ষেত্রেই বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করে চার রাজকুমার। একবার দশরথের সভায় উপস্থিত হন মুনি বিশ্বামিত্র। ঋষির আশ্রমে উপদ্রবকারী রাক্ষসদের বধ করার জন্য রাজার কাছে সাহায্য চান তিনি। এই কাজের জন্য রামকে নির্বাচন করেন বিশ্বামিত্র। রামের বয়স তখন কেবল ষোলো। ছায়াসঙ্গী লক্ষ্মণকে নিয়ে ঋষির আশ্রমে যায় রাম। দু’জনকেই বিশেষ অস্ত্রশিক্ষা দেন মুনি বিশ্বামিত্র, সেই সাথে নানান অলৌকিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করেন। সেই শিক্ষা আর অস্ত্র ব্যবহার করেই রাক্ষসদের বধ করতে সক্ষম হয় রাম-লক্ষ্মণ।

সেই সময়ে মিথিলার রাজা ছিলেন জনক। পুত্রলাভের আশায় যজ্ঞ করার উদ্দেশে জমিতে লাঙল চালানোর সময়, ঠিক লাঙলের রেখায় একটি শিশুকন্যাকে কুড়িয়ে পান তিনি। কন্যাটিকে ভগবানের দান মনে করে লালন পালন করতে থাকেন রাজা। কন্যার নাম রাখা হয় সীতা। কারণ, সংস্কৃতে লাঙলের কর্ষণ রেখাকে সীতা বলা হয়। কিন্তু এই সীতা হলো বিষ্ণুর পত্নী লক্ষ্মী। স্বামীর সাথে সাথে পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছেন তিনি-ও। কন্যা বিবাহযোগ্যা হলে বিয়ের জন্য স্বয়ম্বর সভার আয়োজন করেন রাজা জনক। তাকে একটি ধনুক উপহার দিয়েছিলেন শিব। রাজা প্রতিজ্ঞা করেন, যে ব্যক্তি এই ধনুকে গুণ টানতে পারবে, তার সাথেই বিয়ে হবে অপরূপা সীতার। রাম-লক্ষ্মণকে নিয়ে সেই স্বয়ম্বর সভায় উপস্থিত হন ঋষি বিশ্বামিত্র। কেবলমাত্র রামই সেই ধনুকে গুণ পরাতে সক্ষম হয়। এমনকী রাক্ষসরাজ রাবণ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় ওখানে। প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী, মহাসমারোহে রামের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় সীতার। শুধু তাই নয়, দশরথের অন্যান্য পুত্রদের সঙ্গে জনকের অন্যান্য কন্যা এবং ভগিনীকন্যাদের বিয়ে হয়। মিথিলায় বিশাল জাঁকজমকের সাথে উদযাপিত হলো বিয়ের মহা উৎসব। অতঃপর নববিবাহিত চার রাজকুমার তাদের স্ত্রীদের নিয়ে ফিরে আসে অযোধ্যা নগরে।

রাম-সীতার বিয়ের বারো বছর পর রামকে যৌবরাজ্যের দায়িত্ব অর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বৃদ্ধ রাজা দশরথ। কোশল রাজসভায় তার উপস্থাপিত ইচ্ছাকে সমর্থন জানায় সবাই। কিন্তু অভিষেক অনুষ্ঠানের ঠিক আগেরদিন দাসী মন্থরার কুমন্ত্রণায় কৈকেয়ীর ঈর্ষা জেগে উঠে। অতীতে কৈকেয়ীকে দুটি বর দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন রাজা দশরথ। এই সুযোগ কাজে লাগালেন কৈকেয়ী। রাজার কাছে দাবি করলেন রাণী- রামকে চোদ্দ বছরের জন্য বনবাসে পাঠাতে হবে এবং ওর স্থলে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করতে হবে ভরতকে। প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য কৈকেয়ীর কথা মেনে নেন রাজা। পিতার আদেশ মেনে নেয় রাম। স্ত্রী সীতা আর ভাই লক্ষ্মণকে সাথে নিয়ে বনবাসে যায় সে। পুত্রের এই হাল সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেন শোকে কাতর দশরথ। তখন মাতুলালয় নন্দীগ্রামে ছিল ভরত। পিতার মৃত্যুসংবাদ শুনে অযোধ্যায় ফিরে আসে ও, জানতে পারে মায়ের কুটিল চক্রান্তের কথা। তাই সেই রাজপদ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে সে। রামকে খুঁজতে খুঁজতে বনে উপস্থিত হয় ভরত। ভাইকে অযোধ্যায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে ও। কিন্তু পিতার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করতে রাজি হয় না রাম, চোদ্দ বছর শেষ না হলে অযোধ্যায় ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। তখন রামের খড়ম দুটি চেয়ে নিয়ে আসে ভরত। রাজ্যে ফিরে সেই খড়ম দুটিই সিংহাসনে স্থাপন করে রামের নামে রাজ্যশাসন করতে শুরু করে সে।

পিতার আদেশ মেনে স্ত্রী সীতা আর ভাই লক্ষ্মণকে সাথে নিয়ে বনবাসে যায় রাম

এদিকে গোদাবরী নদীর তীরে পঞ্চবটী বনে কুটির তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করে রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণ। একদিন সেই বনে ভ্রমণ করতে আসে রাবণের বোন সূর্পণখা, পথিমধ্যে রাম-লক্ষ্মণের সাথে দেখা হয় তার। রাম-লক্ষ্মণকে প্রলুব্ধ করতে সুন্দরী রমণীর ছদ্মবেশ নেয় সূর্পণখা, তবে ব্যর্থ হয়। তখন ক্রোধে অন্ধ হয়ে সীতাকে ভক্ষণ করতে যায় সে। কিন্তু খড়গের আঘাতে সূর্পণখার নাক-কান ছিদ্র করে দেয় লক্ষ্মণ। বোনের দুর্গতির কথা শুনে সৈন্য নিয়ে রাম-লক্ষ্মণকে আক্রমণ করে সূর্পণখার অপর দুই রাক্ষস ভাই খর এবং দুষন। তবে সবাইকে বধ করে রাম।

পুরো ঘটনা জানতে পেরে প্রতিশোধ নিতে সীতাকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে রাবণ। এই কাজে মারীচ নামে এক মায়াবী রাক্ষসের সাহায্য নেয় সে। স্বর্ণমৃগের ছদ্মবেশ ধরে সীতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে মারীচ। স্ত্রীর কথায় হরিণটিকে ধরতে যায় রাম। কিছু্ক্ষণ পর রামের গলা নকল করে আর্তনাদ করে উঠে মায়াবী মারীচ। স্বামীর ক্ষতি হওয়ার আশংকায় লক্ষ্মণকে রামের সন্ধানে যেতে অনুরোধ করে সীতা। লক্ষ্মণ বারবার মনে করিয়ে দেয়- রাম অপরাজেয়, তার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু সীতার কথায় অবশেষে ভাইয়ের সন্ধানে রওনা হয় লক্ষ্মণ। তবে বধূমাতাকে সতর্ক করে দেয় সে, কুটিরের চারিদিকে কাটা গণ্ডীর বাইরে যেন না যায় সীতা।

এমন একটি সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল রাবণ। ঋষির ছদ্মবেশে সীতার কাছে ভিক্ষা চাইতে আসে সে। রাবণের ছলনা না বোঝায়, ভিক্ষা দিতে গণ্ডীর বাইরে চলে যায় সীতা। এই সুযোগে জোর করে সীতাকে রথে তুলে নেয় রাবণ। দূর থেকে সীতার অপহরণ দেখতে পায় শকুন জটায়ু। সীতাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে ও। কিন্তু রাবণের হাতে গুরুতর আহত হয়ে ভূপাতিত হয় পাখিটি। লংকায় অশোক কানন বনে সীতাকে নজরবন্দী করে রাখে রাবণ, পাহারায় থাকে চেড়ী নামের একদল রাক্ষসী। রামের স্ত্রীর রূপে মুগ্ধ হয়ে ওকে বিয়ে করতে চায় রাক্ষসরাজ। কিন্তু প্রস্তাবটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে পতিভক্ত সীতা। এদিকে জটায়ুর কাছে সীতা-হরণের সংবাদ পায় রাম আর লক্ষ্মণ। সাথে সাথে সীতাকে উদ্ধারের জন্য যাত্রা শুরু করে দু’জন। পথে শবরী নামে এক বৃদ্ধা তপস্বিনী সুগ্রীব আর হনুমানের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেয় তাদের।

তাই বানর রাজ্য কিষ্কিন্ধায় যায় রাম-লক্ষ্মণ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বানরবীর হনুমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রাম ও লক্ষ্মণের। কিষ্কিন্ধার নির্বাসিত রাজপদ প্রার্থী সুগ্রীবের অনুগত হনুমান। তাই সুগ্রীবের সঙ্গে মিত্রতা করে রাম। দু’জনে মিলে বালীকে হত্যার পরিকল্পনা করে ওরা। ঠিক করা হয়, যখন বালীকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করবে সুগ্রীব, তখন পিছন থেকে তীর মেরে বালীকে হত্যা করবে রাম। কারণ ইন্দ্রের বরের ফলে বালীকে সামনে থেকে হত্যা করা ছিল অসম্ভব। পরিকল্পনা মতো তাই হলো। মৃতপ্রায় বালী রামকে প্রশ্ন করল, কেন ওকে হত্যা করেছে সে? রাম জবাব দিল, অন্যায়ভাবে সুগ্রীবকে রাজ্যচ্যুত এবং জোর করে ওর স্ত্রী তারাকে নিজের রাণী করেছে বালী। তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওর। নিজের অন্যায় বুঝতে পারল বালী, রামকে ধন্যবাদ জানিয়ে অবশেষে মৃত্যুবরণ করল। কিষ্কিন্ধার সিংহাসন ফিরে পেল সুগ্রীব। রামের সাহায্যের জন্য সীতার অনুসন্ধানে বানর দল পাঠায় সে। উত্তর, পূর্ব এবং পশ্চিমগামী দলগুলি ব্যর্থ হয়ে ফিরে এল। অঙ্গদ আর হনুমানের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণগামী দলটি খবর পায়, সীতাকে লংকায় বন্দী করে রেখেছে রাবণ। সীতার খোঁজে সেখানে উপস্থিত হয় হনুমান। বিশাল শরীর ধারণ করে এক লাফে সাগর পার হয়ে এসেছে সে। রাবণের প্রাসাদে গুপ্তচরবৃত্তি করতে শুরু করল ও। অবশেষে অশোকবনে সীতার সন্ধান পায় হনুমান। রাবণের সাথে বিয়েতে রাজি করার জন্য সীতাকে ভয় দেখাচ্ছিল চেড়ীরা। সুযোগমতো, সীতাকে রামের আংটি দিল হনুমান, সেই সাথে তাকে স্বামীর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইল। কিন্তু রাজি হলো না সীতা। বদলে বলল সে, রাম যেন শীঘ্রি রাবণকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে তার অপমানের প্রতিশোধ নেয় এবং তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

অতঃপর লংকায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায় হনুমান, এমনকী রাবণের বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে পর্যন্ত বধ করে ও। তারপর ধরা দেয় রাবণের লোকদের কাছে। রাজসভায় উপস্থিত হয়ে সীতাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাবণকে উপদেশ দেয় হনুমান। কিন্তু তার কথা অবজ্ঞা করে রাবণ, বদলে লেজে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর হনুমান নিজের লেজের আগুনে পুরো লঙ্কাপুরী প্রায় ভস্মীভূত করে ফিরে আসে। কিষ্কিন্ধায় ফিরে রামকে সীতার খবর দেয় অঙ্গদ আর হনুমানের দল। হনুমানের কাছ থেকে সীতার খোঁজ পেয়ে দক্ষিণ সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বানর সেনাবাহিনীসহ রাম-লক্ষ্মণ। সমুদ্রতীর থেকে তাদের সাথে যোগ দেয় রাবণের অনুতপ্ত ভাই বিভীষণ। বানরদের তৈরি সেতু ব্যবহার করে লংকায় প্রবেশ করে রামের দল। লংকায় রাম এবং রাবণের মধ্যে এক বিশাল এক যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে হেরে যায় রাবণ, নিহত হয় রামের হাতে। বিভীষণকে লংকার সিংহাসনের দায়িত্ব দিয়ে নিজ রাজ্যে ফিরে আসে রাম।

দীর্ঘদিন রাক্ষসপুরীতে বসবাসকারী সীতার সতীত্ব নিয়ে সন্দেহ জাগে রামের মনে। সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে সতীত্ব প্রমাণ করতে বলে তার স্বামী। স্বামীর সন্দেহ দূর করতে অগ্নিতে প্রবেশ করে সীতা। স্বয়ং অগ্নিদেব আবির্ভূত হয়ে সীতার পবিত্রতার ঘোষণা দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই বনবাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। অযোধ্যায় ফিরে আসে রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণ। ধুমধাম করে রামের রাজ্যাভিষেক হয়। সীতাকে নিয়ে সুখে সংসার করতে লাগল রাম। এদিকে অগ্নিপরীক্ষিতা হওয়া সত্ত্বেও সীতাকে নিয়ে নানান গুজব ছড়াতে শুরু করে অযোধ্যার মানুষ। তাই বিচলিত হয়ে সীতাকে নির্বাসনে পাঠায় রাম। সন্তানসম্ভবা সীতা আশ্রয় নেয় ঋষি বাল্মীকির আশ্রমে। সেখানেই তার যমজ পুত্রসন্তান লব আর কুশের জন্ম হয়। লব-কুশকে তাদের পিতৃপরিচয় জানানো হয় না। বাল্মীকির কাছ থেকে রামায়ণ গান শেখে ওরা। ইতিমধ্যে রাম অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলে লব-কুশকে নিয়ে ওখানে উপস্থিত হন বাল্মীকি। সভায় রামায়ণ গান গেয়ে শোনায় লব আর কুশ। সীতার বনবাসের গান শুনে দুঃখিত হয় রাম। তখন সীতাকে রামের সামনে নিয়ে আসেন বাল্মীকি। কিন্তু রাম আবারও সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে বলায় অপমানিত অনুভব করে সে। মাতা ধরিত্রীকে আহ্বান জানায় সীতা, তিনি এসে সীতাকে নিয়ে পাতালে চলে যান। এরপর রাম জানতে পারে, লব এবং কুশ আসলে তারই সন্তান। পরবর্তীকালে পৃথিবীতে অবতাররূপে তার কাজ শেষ হলে, দুই পুত্রের হাতে শাসনভার ছেড়ে দেয় রাম। সরযূ নদীতে আত্মবিসর্জন দেয় সে, ফিরে আসে দেবালয়ে।

লেখকঃ আফরানুল ইসলাম সিয়াম

তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, কিশোর রামায়ণ (সেবা প্রকাশনী)