আজ রোববার রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের নিজ জন্মভূমিতে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফেরার আশ্বাস দিয়েছেন।

আজ উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে রাষ্ট্রপতি এ আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পাশের দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, পুরো বিশ্ব আপনাদের পাশে রয়েছে’।
আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন, তাদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের দুর্ভোগের কাহিনী শোনেন।
রাষ্ট্রপতি কক্সবাজারে তার দু’দিনব্যাপী সফরের অংশ হিসেবে আজ দুপুরের দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিবগণ, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই রাষ্ট্রপতি এ সফরে গেলেন।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর দেশটির সামরিক বাহিনী নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও ‘জাতিগত নিধন’ শুরু করলে ছয় লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় আরো চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি দু’দিনের সফরের মধ্যে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল রয়্যাল টিউলিপে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও ইন্ডিয়ান ওশ্যান নেভাল সিম্পোজিয়াম (আইওএনএস) মাল্টিলেটারেল মেরিটাইম সার্চ রেসকিউ এক্সারসাইজ-২০১৭ (আইএমএমএসএআরএফইএক্স-২০১৭)-এর একটি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, অনুষ্ঠানে নয়টি পর্যবেক্ষকসহ প্রায় ৩২টি দেশের নৌবাহিনীর প্রধান, সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নৌ বিশেষজ্ঞগণ অংশ নেবেন।
তিনি আরো জানান, রাষ্ট্রপতি আগামীকাল বিকেলে বঙ্গভবনে ফিরবেন।














