রিচার্জে গ্রাহককে যেভাবে ঠকাচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলো

0
মোবাইল অপারেটর

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নিয়েই ২৯, ৩৯ বা ১০৯ টাকার মোবাইল রিচার্জ ব্যবস্থা চালু করেছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। আর এভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের রিচার্জে ১ টাকা করে ঠকাতে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে অপারেটরগুলো। কারণ এ ধরনের প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণের ফলে খুচরা পয়সার অভাব দেখিয়ে রিচার্জ ব্যবসায়ীরা ১ টাকা করে বেশি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

এভাবে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি মোবাইল ফোনসংযোগ থেকে গ্রাহকের পকেট থেকে কোটি কোটি টাকা বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদন নিয়েই মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক এ কাজ করছে।

গ্রাহকরা বলছেন, প্যাকেজগুলোর মূল্য যদি জোড় সংখ্যায় হতো, তাহলে আর এভাবে ১ টাকা ঠকতে হতো না। অভিযোগ আছে, রিচার্জ ব্যবসায়ীদের যে হারে কমিশন দেওয়া হয়, তা যথেষ্ট নয়। তাই এক টাকা বাড়তি নিয়ে তারা মুনাফার ব্যবস্থা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। তার বলছে, গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের বান্ডেল সুবিধা দিতে এ ধরনের প্যাকেট ব্যবস্থা দেওয়া হয়।

মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক রিচার্জ করা হয়। প্রতিদিন ৫০ কোটি টাকার এ লেনদেনে কতো টাকা গ্রাহককে অতিরিক্ত দিতে হয় তার কোনও হিসাব নেই। প্রসঙ্গত, ইলেকট্রনিক রিচার্জের বাইরে স্ক্র্যাচ কার্ড, ব্যাংকের মোবাইল ফোন হিসাব, ওয়েবসাইট, ক্রেডিট, ডেবিট কার্ডসহ আরও কয়েকটি উপায়ে মোবাইল ফোনে রিচার্জ করা হয়।