চালকের লাইসেন্স না থাকায় বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল আটকে রাখছে শিক্ষার্থীরা। তবে এসব যানবাহনের চালকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য পুলিশকে তারা খুঁজে পাচ্ছে না। এদিকে শিক্ষার্থীরা এক সার্জেন্টকে মারধর করে ও তাঁর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
আজ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে শিক্ষার্থীরা একটি গাড়ি আটক করে। গাড়ির ভেতরে ছিলেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটা আমাদের জেলা প্রশাসনের গাড়ি নয়। আমরা গাড়িটি ভাড়া করেছি। গাড়ি ভাড়া করার সময় চালক জানিয়েছিল লাইসেন্স ও কাগজপত্র ঠিক আছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তাঁর কথায় গরমিল আছে।
পরে ব্যক্তিগত একটি গাড়ির চালক সোহেল বলেন, গাড়িতে পুরোনো কাগজপত্র আছে। নতুন কাগজপত্র নেওয়া হয়নি। এই জন্য শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকেছে।
এ সময় মিটারে যাত্রী না নেওয়ার কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশাও আটক করে শিক্ষার্থীরা। আটক এক অটোরিকশার চালক শরিফুল বলেন, যাত্রী নিজেই চুক্তিতে আসতে রাজি হয়েছেন, মিটারে আসতে চাননি। এ জন্য তাঁর গাড়ি ছাত্ররা আটকেছে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন ছাত্র বলেন, আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি। মিটারে সিএনজিচালিত অটোরিকশা না যাওয়া এক ধরনের অপরাধ। তাই তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু মামলা দেওয়ার জন্য যথাযথ কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দুপুর ১২টার পর থেকে দেখা গেছে সায়েন্স ল্যাব ও ল্যাবএইড সিগন্যালে কোনো ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে নেই। তবে বেলা ১টার দিকে ওই এলাকার এক ট্রাফিক পুলিশকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। মামলা নেওয়া হচ্ছে না—ছাত্রদের এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ডিউটি শেষ হয়েছে। দুইটার পর থেকে নতুন ডিউটি শুরু হয়। তাই এই দায় দায়িত্ব আমার নয়। আমি চলে যাচ্ছি।’