হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কুতুবেরচক গ্রামের ইকবাল মিয়ার একটি ষাঁড় রয়েছে। তার ষাঁড়টির নাম রাজা। নাম রাজা হবে আর তার মধ্যে একটা রাজকীয় ব্যাপার থাকবে না তা কি হয়? তাইতো রাজাকে এ বছরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বলেই ধরা হচ্ছে।
৪ বছর বয়সী রাজা লম্বায় ৯ ফুট ৩ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি আর তার ওজন ২১ মন। এজন্যই তার এই রাজা নামটি বেশ জামাই আদরেই রাখা হয়েছে।
রাজার আবাসস্থল লামিয়া ডেইরি ফার্মের সত্ত্বাধিকারীর নাম ইকবাল মিয়া। তিনি জানান, তিনি একসময় সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট হিসেবে চাকরি করতেন। অবসরে যাওয়ার পর ৫ বছর আগে ১২ টি গাভী নিয়ে তিনি লামিয়া ডেইরি ফার্ম শুরু করেন। দুধ বিক্রি শুরু করেন আশেপাশের এলাকায়। গাভীগুলোর মধ্যে একটি গাভীর বাচ্চা খুব দ্রুত বড় হতে থাকে। এজন্য উনি এর নাম দেন রাজা। তিনি আরো জানান, এই চার বছরে রাজা সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ খাবার খেয়েই বড় হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোন প্রকার মোটাতাজার ওষুধ বা ইনজেকশন ছাড়াই গরুটির ওজন ২১ মন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহদাকার এই ষাঁড়ের জন্য প্রতিদিনের বাজেট প্রায় ৫০০ টাকা। খাবারের মেন্যু হিসেবে থাকে খৈল, খড়, ভুষি, ধানের কুড়া, ডাল আর নিজের জমিতে লাগানো ঘাস। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তাই রাজার মালিক তার দাম হাঁকাচ্ছেন ৫ লক্ষ টাকা। খামারির দাবি রাজা আকার, আকৃতি ও ওজনের দিক থেকে উপজেলার সবচাইতে বড় পশু। আর তাই রাজাকে দেখতে প্রতিদিন ওই খামারির বাড়িতে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ভিড় করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রমাপদ দে এর সাথে রাজার বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, রাজা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়। সে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলায় বৃহৎ ষাঁড় হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি ও তার দেখভাল করছি।