লনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জেরে নিরাপদ সড়ক, ঘাতক বাস চালকদের বিচার করাসহ ৯ দফা দাবিতে চারদিন ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজও চতুর্থ দিন বিভিন্ন সড়কে শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণ কার্যত ঢাকা শহর অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ভয়ে রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন না মালিকরা।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হচ্ছে–
১. বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌপরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না।
৪. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।
৫. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. প্রত্যেক সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার দিতে হবে।
৭. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৮. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের নিতে হবে।
৯. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।