শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকায় কর্মরত বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ২৩ জনকে রাজধানীর বাইরে বদলি করেছে সরকার।এর মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক; জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
মাউশির আটজন, ঢাকা বোর্ডের ছয় জন, এনসিটিবির নয়জন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের একজন এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি শিক্ষা বোর্ডের ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা নিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকায় পোস্টিং টিকিয়ে রেখেছিলেন। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়ানোরও অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন সময়ে। মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইং) মো. সেলিম, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) মো. ফজলে এলাহী, উপ-পরিচালক (কলেজ-২) মো. মেসবাহ উদ্দিন সরকার, উপ-পরিচালক এস এম কামাল উদ্দিনকে বদলি করে ঢাকার বাইরে পাঠানো হয়েছে।
মাউশির উপ-পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকি, সহকারী পরিচালক (কলেজ-৪) জাকির হোসেন, উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) খ ম রাশেদুল হাসান এবং সহকারী পরিচালক (কলেজ-২) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকেও বদলি করেছে সরকার।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন, বিদ্যালয় পরিদর্শক এ টি এম মঈনুল হোসেন, উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুদা বেগম, কলেজ উপ-পরিদর্শক মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ (শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএস) এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়কে ঢাকার বাইরে পাঠনো হয়েছে।
এনসিটিবির সম্পাদক দিলরুবা আহমেদ, বিশেষজ্ঞ ফাতেমা নাসিমা আক্তার, বিশেষজ্ঞ মনিরা বেগম ও শাহীনারা বেগম রয়েছেন বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে। এনসিটিবির গবেষণা কর্মকর্তা মারুফা বেগম, মো. হাবিবুল্লাহ ও মোহাম্মদ শাহ আলম এবং উৎপাদন নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল মজিদ ছাড়াও পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা পরিদর্শক মো. কাওসার হোসেনকে বদলি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রশ্ন ফাঁসে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদ মাধ্যমে আসা প্রতিবেদনে এই কর্মকর্তাদের কয়েকজনের নামও এসেছে।