শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, রাষ্ট্রের সকলেই সমান সুযোগ লাভ করবেন। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে অধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া বা বঞ্চিত করা হবে না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সকল ধর্ম, সকল শ্রেণি, সকল বর্ণের মানুষের জন্য সমান রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মনে করেন এটা বাঙালিদের রাষ্ট্র। রাষ্ট্রীয়ভাবে সবাই সমঅধিকারসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে তার অধিকার ভোগ করবেন।
পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা ও প্রার্থনায় মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, মানুষের কল্যাণে ও দেশের সেবায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং সত্যের পক্ষে আমরা যাতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারি, অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কোন ধর্মই খারাপ কোন কিছু বহন করে না। সর্কল ধর্ম-মতের মানুষদের ভালো চিন্তা-চেতনার সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলা হয়। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার প্রতিষ্ঠিত করে। শেখ হাসিনা যতদিন আছেন, আওয়ামী লীগ যতদিন আছে ততদিন সব ধর্মাবলম্বীদের একই অধিকার থাকবে। আমরা চাই বাংলাদেশ হোক হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলের জন্য শান্তির ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, একাত্তরের পরাজিত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামে আবির্ভূত হয়। মাঝে মাঝে দুষ্ট প্রকৃতির লোকরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। তবে তাদের সংখ্যা নগন্য। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সুন্দর বাংলাদেশ অর্জনের ক্ষেত্রে সব সম্প্রদায়ের মানুষেরা রক্ত দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে সব ধর্মের মানুষের অধিকার একইভাবে লেখা রয়েছে। এ অধিকার বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।