কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সঠিকভাবে নির্বাচন হলে আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। যদি (ক্ষমতায়) যায় তাহলে আমি হাতে চুড়ি পরব। আর ক্ষমতায় যেতে না পারলে, বিএনপি তো পালিয়ে বেড়াচ্ছে, আওয়ামী লীগ পালিয়েও বাঁচতে পারবে না।’
নাটোর কানাইখালি পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক জনসভায় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৩ পার্সেন্ট ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাকে মানায় না। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে না, তাঁরা ভালোবাসে ক্ষমতা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এখন আর আওয়ামী লীগ করে না বলেই সেই দলে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী হাসানুল হক ইনু আর বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতা বানানোর স্লোগান দেওয়া মতিয়া চৌধুরীর মতো মন্ত্রী আছেন। আমাকে ইনু-মতিয়াদের সঙ্গে বেহেশতে যেতে বললেও যাব না।’
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আগে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে একে-অন্যের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল। আর এখন শত্রুতা। স্বাধীনতার পর জাসদ যা হত্যা না করেছে, আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের লোককে অনেক বেশি হত্যা করেছে।’
নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুসের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নাটোরে আট দিন থেকে আবদুল কুদ্দুসকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ করে গেছি। পরে নিজ দলের কাজে আহম্মদপুর স্কুলমাঠে তাঁবু খাঁটিয়ে থাকার সময়, সেই আবদুল কুদ্দুসই গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে তাঁবু ভেঙে দেন।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, নাটোরে তাঁর দলের জন্য গামছার বীজ বপন করতে এসেছেন। এই বীজ থেকেই একসময় হাজার হাজার গামছার কর্মী সমর্থক তৈরি হবে।
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন নবী সোহেল প্রমুখ। পরে কাদের সিদ্দিকী সহযোগী নেতাদের নিয়ে দলের নাটোর জেলা কমিটি গঠনের জন্য পৃথক সভায় যোগ দেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়নি।