সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় সিরিয়ার বিদ্রোহী- অধ্যুষিত ইদলিব প্রদেশেঅন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৮ জন। সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্য হোয়াইট হেলমেটস বা সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
হোয়াইট হেলমেটসকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, রবিবারে ইদলিবে চালানো হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন কিশোরীও ছিল। প্রদেশটির বিনিশ ও তাফতানাজ শহর এবং রাম হামদান গ্রামে বিমান হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। এই গ্রামগুলো বিদ্রোহী জোট বাহিনী নিয়ন্ত্রিত। হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানবাধিকার কর্মী আবু আল-আমিন বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে গোলা বর্ষণ অব্যাহত ছিল। শহরের বেশিরভাগ ভবনেই হামলা চালানো হয়।
সিরিয়া সরকার বর্তমানে ইদলিবে অবস্থানরত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দেশটিতে এটাই এখন বিদ্রোহীদের সবচেয়ে বড় শক্ত ঘাটি। ইদলিবে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা আনুমানিক ২০ লাখ। এর মধ্যে এরকম কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন যারা সিরিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে সেখানে অবস্থান করছেন।
এর আগে ৭ ও ৮ জুন রাতে ইদলিব প্রদেশের জার্দানা গ্রাম লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ছয় শিশুসহ ৪৪ জন প্রাণ হারায়।জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস রবিবার ৭ ও ৮ জুনের বিমান হামলার তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে গুতেরেস এ বিমান হামলার ব্যাপারে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে পূর্ণ তদন্তের আহবান জানান।
সিরিয়ার উত্তেজনা প্রশমনে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে ইদলিব সেই চুক্তির অন্তর্ভূক্ত বলে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। গুতেরেস চুক্তিভূক্ত দেশগুলোর প্রতি তাদের চুক্তির শর্ত মেনে চলার আহবান জানান।