২০১৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতস্বরূপ সিআইপি (রপ্তানি) ও সিআইপি (ট্রেড)-২০১৪ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দেশকে স্থি’তিশীল রাখতে নির্বাচন যথাসময়ে হবে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। কিন্তু যারা বলত, তারা এখন বিস্ময়কর উত্থান বলে আখ্যায়িত করে। এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য, যার সাফল্যের দাবিদার ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশকে গরিব দেশের মডেল বললেও এখন উন্নত দেশের রোল মডেল বলে আখ্যায়িত করা হয়। পঞ্চম-সপ্তবার্ষিকী পরিকল্পনায় পণ্যের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের এ উন্নতি রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে অনেকেই অস্বীকার করে থাকে।
এ ছাড়া বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন বুরে্যার ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম হোসেন, এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও ব্যবসায়ীরা।
সিআইপি রপ্তানির পক্ষ থেকে আসিফ ইব্রাহিম বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের ডলারের বিপরীতে অর্থ অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ফলে সেখানকার রপ্তানিকারকরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এ ছাড়া ভারত রপ্তানি খাতকে আরও উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে, যা এখন আমাদের দেশে কম হচ্ছে। এ জন্য আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি প্রয়োজন। উৎসে কর বাদ দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
শুভাশীষ বসু বলেন, দেশে জিডিপির ১৬ শতাংশ আসে রপ্তানি খাত থেকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেখানে ২৫টি পণ্য ৬৪ জেলায় রপ্তানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ৪৭৭টি পণ্য ১৯৯ দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করছে। কাঁচামাল আমদানি ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে কম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে ট্যাক্স হলিডে ও হ্যান্ডিক্রাফট এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক্সপোর্ট প্রমোশন ফান্ড থেকে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, দেশের উন্নয়নে কখন কী করা লাগত তা বঙ্গবন্ধু জানতেন। তার সুদূরপ্রসারী চিন্তার কারণে দেশের এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।