সারাদেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য নির্ধারণ

0

নির্ধারণ হলো ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য (ট্যারিফ)। ফলে এখন থেকে সকলে একই দামে ইন্টারনেট পাবেন। নতুন দাম কার্যকর হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে।

বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্টারনেটের নতুন এই ট্যারিফ ঘোষণা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, যে সেবামূল্য বেঁধে দেয়া হলো, তা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য। এ মূল্য নির্ধারণের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও এক ধাপ অগ্রগতি হলো। আজকের এ ঘোষণার ফলে সারাদেশে ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট বাস্তবায়ন আরও সহজ হলো। ৬ জুন ‘এক দেশ এক রেট’ ইন্টারনেট ঘোষণা দেয়ার পরে তা বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছিল। এখন এটা আর থাকবে না।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা নিয়ে শত শত অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা বেশি বলে সরাসরি অভিযোগ করেন অনেকে।

আইআইজি ফোরামের মহাসচিব আহমদে জুনায়েদ জানান, ট্যারিফ ঠিক করে দেয়ার ফলে সারাদেশে এখন এক দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে। ঢাকার বাইরে একেক আইএসপি একেক দামে ব্যান্ডউইথ কিনত। এখন থেকে এক রেটে কিনবে। ফলে তা গ্রাহকের দিকেই যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিটিআরসি আইআইজির জন্য বিভিন্ন ভলিউমে ১১টি স্ল্যাবে ব্যান্ডউইথের দাম ও এনটিটিএনগুলোর জন্য ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটির ভলিউম অনুযায়ী ১৫টি স্ল্যাবে সেবামূল্য বেঁধে দেয়া হয়। এটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানে আইআইজি এবং আইএসপিএদের জন্য বেসরকারি এনটিটিএন’র ব্যাকহল (ক্যাপাসিটিভিত্তিক) ট্যারিফ। এছাড়া আগেই আইএসপির দাম তিনটি স্ল্যাবে (৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা) বেঁধে দেয়া হয়। এর আগেও এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের সেবামূল্য ছিল, কিন্তু তা কখনই সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা একটা দাম ঠিক করে তা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করত।