এখন পর্যন্ত বন্যায় কবলিত ৩১ জেলার ১৭৬টি উপজেলা, ৪৪টি পৌরসভা ও ১৩১৭টি ইউনিয়ন। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৯৫৪ জন। রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বন্যার ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরে।
বন্যায় মৃতদের মধ্যে দিনাজপুরে ৩০ জন, কুড়িগ্রামে ২০ জন, লালমনিরহাটে ৬ জন, নীলফামারীতে ৮ জন, সুনামগঞ্জে ২ জন, নেত্রকোণায় ২ জন, গাইবান্ধায় ১৩ জন, সিরাজগঞ্জে ৫ জন, জামালপুরে ১০ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ জন, নওগাঁয় ৪ জন, যশোর ৩, শেরপুর ৩ জন, মৌলভীবাজার ২ জন, বগুড়ায় ৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন, রংপুরে ৩ জন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “এখন সারা দেশে ৬৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৯০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলার তথ্য জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বলেন, কুড়িগ্রামে আজ ২৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৯০ লক্ষ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করেছি।বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, রাঙামাটি, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, শেরপুর নাটোর ও ঢাকা জেলা এখন বন্যা কবলিত।
ক্ষয়ক্ষতিঃ
> ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬৪ টি পরিবার
> দুর্গত জেলাগুলোতে ৪৩ হাজার ৩২২টি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
> ৭৫৬১টি হাঁস-মুরগি মারা গেছে
> ২৮৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
> বন্যায় ২২৫টি ব্রিজ ও কালভার্টে এবং ১৭০ কি.মি.বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সার্বিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পদ্মার আশপাশের এলাকার পানি কমছে। অবস্থার অবনতি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা আপাতত নেই।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে। পদ্মা নদীর পানি সমতল উজানের (গোয়ালন্দ) পয়েন্টে কমছে এবং ভাটির (ভাগ্যকূল) পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল কমছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টায় তা কমতে পারে এবং গঙ্গা নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পদ্মা নদীর পানি উজানের (গোয়ালন্দ) পয়েন্টে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কমতে পারে এবং সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় কমতে পারে পূর্বাভাস মিলেছে।