সাড়ে ৪ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন

0
সাড়ে ৪ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন

তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর তিনজন প্রেমিক। প্রেমিকার কাছে বাকি দু’জনকে আসতে নিষেধ করায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় শাহ আলম নামের এক প্রেমিককে। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দোকানের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫) হত্যার সাড়ে ৪ বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ।

বুধবার সিরাজগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জুলহাস ওরফে জুলু (৫৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়। নিহত শাহ আলম উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে।

সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ছোনের ভেতর থেকে দোকান কর্মচারী শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই নিহতের স্ত্রী মোছা. শিরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ কিছুদিন মামলাটি তদন্ত করে। পরে মামলা সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মঙ্গলবার এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস ওরফে জুলুকে কামারখন্দ এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

জুলহাসের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, বওড়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্তা নারী কাকলির সঙ্গে শাহ আলম ও জুলহাসসহ তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে শাহ আলম প্রেমিকাকে গালিগালাজ করেন এবং বাকি প্রেমিকদের আসতে নিষেধ করেন। এতে জুলহাস, কাকলি ও তার আরেক প্রেমিক ক্ষুব্ধ হয়ে শাহ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে শাহ আলম প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে ঘুমিয়ে পড়লে কাকলি ও তার দুই প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরে যমুনা নদীর একটি দুর্গম চরে ছোনের ভেতরে লাশ ফেলে দিয়ে আসেন তারা।