সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেছে দুই শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

0
সের্গেই ,রেক্স

সিরিয়ার বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে দুই শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের মধ্যে এ বিষয়ে ফোনে কথা হয়েছে। রবিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সের্গেই ,রেক্স
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। দুই নেতার আলোচনায় সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় সিরিয়া সংকট উত্তরণ নিয়েও কথা হয় এ দুই ক্ষমতাধর কূটনীতিকের। উঠে আসে রাশিয়ার অবকাশযাপন শহর সোচিতে সিরিয়া ইস্যুতে আসন্ন বৈঠকের বিষয়টিও।
সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে তুরস্কের স্থল ও বিমান হামলার মধ্যেই দুই নেতার মধ্যে কথা হলো।

এদিকে সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমের আফরিন শহর থেকে রুশ সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম প্রত্যাহারের পরপরই সেখানে কুর্দি বিদ্রোহীদের অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। আঙ্কারার পক্ষ থেকে তাদের এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ‘অলিভ ব্রাঞ্চ ’।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, তুরস্ক সমর্থিত সিরীয় বিদ্রোহীরা শহরটি অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শক্তি রাশিয়া জানিয়েছে, আফরিনের সংঘাতে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

এর আগে তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর নেতৃত্বে সিরিয়ায় বাহিনী গড়ে তোলার মার্কিন পরিকল্পনার খবরে এ অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএস বিরোধী জোট বলছে, কুর্দি সমর্থিত এসডিএফের ৩০ হাজার সদস্য নিয়ে ওই বাহিনী গঠন করা হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। রাজধানী আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কুর্দিদের দখলে থাকা সিরিয়ার আফরিন ও মানবিজ এলাকায় তুর্কি সামরিক বাহিনী যত দ্রুত সম্ভব সমাধানে পৌঁছাবে।

সিরিয়ার মার্কিনপন্থী বিদ্রোহীদের জোট এই এসডিএফ। এ জোটের প্রধান শক্তি সশস্ত্র কুর্দি সমর্থিত যোদ্ধারা। ১৯৮৪ সাল থেকে তারা তুরস্কের কুর্দি অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের দাবি করে আসছে। তুরস্কের দাবি, কুর্দি বাহিনীর হামলায় গত ৩০ বছরে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় প্রায় ৪০ হাজার সদস্য নিহত হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে এ গোষ্ঠীর হামলায় সহস্রাধিক তুর্কি নাগরিক নিহত হয়েছে।

সিরিয়া সংকটে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে রাশিয়া। বিপরীতে আসাদবিরোধী ভিন্ন দুইটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। মতভেদ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের দুই আঞ্চলিক শক্তি তুরস্ক ও ইরানকে সঙ্গে নিয়ে সংকট উত্তরণে কাজ করছে রাশিয়া। বিপরীতে কুর্দি বিদ্রোহীদের নিয়ে একটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী গঠন করে তাদের তুরস্ক সীমান্তে মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে