সোমবার ভোলার ঘাট থেকে ঢাকা গেছে ৫টি লঞ্চ

0
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে রবিবার সকালে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ওয়াটারবাস গ্রিনলাইন, এমভি ভোলা, এমভি দোয়েল পাখি, এমভি কর্ণফুলী ১০, এমভি কর্ণফুলী-৪। অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরী ঘাটের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে যায়, সি-ট্রাক খিজির ৫, খিজির-৮, এসটি সুকান্তবাবু, এসটি ভাষা শহীদ সালাম, এমভি পারিজাত ও ফেরি কিষানী, ফেরি কুসুমকলি, ফেরি কনকচাঁপা। এদিকে অধিক যাত্রীর চাপে ইলিশা লঞ্চঘাটের জেটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চগুলোতে পাড়ি জমায়। সেখানে ছিল না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। পোশাক শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার কারণেই একসঙ্গে কয়েক হাজার যাত্রী পাড়ি জমায় বলে স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যায়। স্থানীয় সূত্র জানায়, কেবল দ্বীপ জেলার কমপক্ষে তিন লাখ শ্রমিক ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কাজ করেন। এছাড়াও, বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের প্রায় দুই লাখ শ্রমিক ভোলার ইলিশা ঘাট হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে সহজ যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট। ইলিশা ফেরিঘাটের ইজারাদার সরোয়ারদি মাস্টার জানান, একসঙ্গে এত মানুষের চাপ থাকায় নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছিল। ঘাটের টোলও ঠিকমতো আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল না। ভোলার নদীবন্দরের সহকারি পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, খেয়াঘাটের লঞ্চ স্টাফরা ছুটিতে থাকায়, ওই রুটে কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। তবে ইলিশা ঘাট থেকেই রোববার ৮টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে। সকালে প্রায় ২০ হাজার যাত্রী পাড়ি জমায়।অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়লেও তখন তাদের পক্ষে বাঁধা দেয়া সম্ভব হয়নি। ফেরি ও লঞ্চ সি-ট্রাকযোগেও ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কমপক্ষে ২০ হাজার যাত্রী দিনভর পাড়ি জমায়। দুই দিনে ওই ঘাট দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক যাত্রী পার হয়েছেন বলে জানায় ফেরি ও লঞ্চঘাট স্টাফরা।

সোমবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার যাত্রীদের নিয়ে ভোলার বিভিন্ন ঘাট থেকে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ৫টি লঞ্চ। তবে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল না।

ভোলার খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি বালিয়া লঞ্চের সুপারভাইজার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ভোলার খেয়াঘাট থেকে সকাল ৯টার দিকে প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চটি রওনা হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে ঢাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। এদিন এ লঞ্চের মাত্র ১২টি কেবিন ও একটি ভিআইপি কেবিন বুকিং হয়েছিল। তা বাদে বাকি সব কেবিনই ফাঁকা রয়ে গেছিল।

তিনি আরও জানান, রোববারের চেয়ে সোমবার যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম থাকলেও লঞ্চের যাত্রীরা সবাই যাতে মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে জন্য স্টাফরা কাজ করে গেছে।

এ বিষয়ে ভোলা বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, সোমবার ভোলার খেয়াঘাট থেকে এমভি বালিয়া, ইলিশা ঘাট থেকে গ্রিন লাইন, তাসরিফ-৩ ও চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে তাসরিফ-৪ ও কর্ণফুলী-১২ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

তিনি আরও জানান, রবিবারের থেকে সোমবার গ্রিন লাইন ব্যতীত অন্য লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের সংখ্যা অনেক কম থাকলেও লঞ্চে যাত্রীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এজন্য প্রতিটি লঞ্চের মালিক, সুপারভাইজার ও স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।