কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মনিরা (২১) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। নিহত নারী এর পূর্বে হারপিক খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল থেকে সকলের অগোচরে পালিয়ে শনিবার কুমারখালী রেলস্টেশনের অদূরে গিয়ে তিনি মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি।
নিহত মনিরা উপজেলার সাদকী ইউনিয়নের বাটিকামারা তরুণ মোড় এলাকার জনির স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিদ্দিক মণ্ডলের মেয়ে। মনিরার একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে বাটিকামারা তরুণ মোড়ের মনির হোসেনের ছেলে জনির সঙ্গে মনিরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত জনি মনিরাকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সইতে না পেরে গত ২৮ জুন মনিরা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে কুমারখালী রেলস্টেশনের অদূরে গিয়ে তিনি মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ প্রসঙ্গে কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।।