শেরপুর জেলা হাসপাতালে এক গর্ভবতী নারী সিঁড়িতেই সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রসূতি নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে ৫ তলা গাইনি ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। এসময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই তিনি সন্তান প্রসব করেন।হাসপাতালের লিফট বিকল থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জেলা হাসপাতালের ৮ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই ৮ মাসের মধ্যে দুটি লিফটই অন্তত চারবার নষ্ট হয়েছে। সবশেষ ২৪ আগস্ট থেকে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। ওই আটতলাবিশিষ্ট হাসপাতাল জুড়েই রয়েছে করোনা ইউনিট, জরুরি ভর্তি রোগীর শয্যা, চিকিৎসকের চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ প্রয়োজনীয় সেবাদানের বিভিন্ন বিভাগ। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন করোনা আক্রান্ত, প্রসূতি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। চিকিৎসক নার্সদেরও ভোগাচ্ছে এ দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আনোয়ারুর রউফ বলেন, লিফট নষ্ট থাকায় ওই রোগী উপরে উঠতে পারেননি। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় লিফটের বিষয়ে তিনি বলেন, “লিফট চালু করতে ইতোমধ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই গণপূর্তকে বলার পরও তারা কোনো অগ্রগতি করছে না। এজন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।”
এ বিষয়ে শেরপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান জানান, দুই সপ্তাহের মধ্যে লিফট দুইবার নষ্ট হলো। লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে বলে তারা (গণপূর্ত) এক নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেছিলেন। কাল পরশুর মধ্যে ঠিক করা সম্ভব হবে।