টেলিকমের ক্যান্সার সারাতে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাইঃ মোস্তফা জব্বার

0
জব্বার স্যার

আইসিটি ও টেলিকম সেক্টরের যতটা বাজে অবস্থার কথা সম্পর্কে জানতাম, অবস্থা তার চেয়েও অনেক খারাপ। এই সেক্টরে আরো হাজার সমস্যা আছে। টেলিকমে সমস্যাগুলো ক্যান্সারের মতো বাসা বেঁধে আছে। আমরা যা জানিও না। সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। এটা আমার একরাতের অভিজ্ঞতা। এভাবেই সমস্যার কথা তুলে ধরলেন বললেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
জব্বার স্যার

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) বুধবার (০৩ জানুয়ারি) কারওয়ানবাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।

টেলিকম ভেতরে ভেতরে ঘুণে ধরা অবস্থায় ছিলো বলেই প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বলেন নতুন দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী। “এ কারণেই হয়তো আগের প্রতিমন্ত্রীকেও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ। ট্রাডিশনাল মন্ত্রীর যে ধারণা, সেটা আমি মানি না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার ছাত্র মোস্তাফা জব্বার টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার সৌভাগ্য আমি বেসিস-এর সভাপতি হিসেবে সরকারি পতাকা ওড়ানো গাড়িতে চড়ে এখানে এসেছি। আমি প্রথমে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু সবাই আদম ব্যাপারি বলায় সেটা ছেড়ে দেই।
তিনি বলেন, আমি কম্পিউটারের কেউ না। আমি বাংলাভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র। ১৯৮৬ সালে আমি প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পউটারের একটি কোর্সে ভর্তি হই। প্রথম দিনের এক ঘণ্টার ক্লাস শেষে আমি তা ছেড়ে দেই। ১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল আমি একটি কম্পিউউটার কিনি। এটা বাসায় নিয়ে এসে চালাতে শুরু করি। কিছুদিন পর বুঝতে পারি আগের বছর ক্লাসে স্যার কম্পিউটার সম্পর্কে যে জটিল জ্ঞান দিয়েছিলেন, তা আসলে সত্য নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে