উচ্চ আদালতে আপিল রোববার-সোমবারের মধ্যেইঃ মির্জা ফখরুল

0
মির্জা ফখরুল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আগামী রোববার-সোমবারের মধ্যেই উচ্চ আদালতে আপিল করতে চায় বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আশা করছি, রবি-সোমবারের মধ্যে যদি কাগজপত্র পাওয়া যায় তাহলে দ্রুত হবে।’
মির্জা ফখরুল
শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘তাঁকে (খালেদা জিয়া) এভাবে একটা মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে এখন তাঁর বিরুদ্ধে যে সমম্ত প্রচারণা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা এটাতে শুধু লজ্জিত, দুঃখিত হচ্ছি না, আমরা এটাকে ধিক্কার জানাচ্ছি। আমরা আশা করিনি, আওয়ামী লীগের মতো একটা পুরানো রাজনৈতিক দল আরেকজন রাজনৈতিক নেতাকে খারাপ অবস্থায় হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এভাবে হীন পন্থায় আশ্রয় নেবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

রায় ঘোষণার পর পরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।