শিক্ষাখাতে অব্যবস্থার কারণে সরকারকে বার বার বিব্রত হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় বুধবার জাতীয় সংসদে তিনি এ মন্তব্য করেন। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও ব্যাংকিং খাতে অব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ টেনে হানিফ বলেন, ‘সরকারের সব সেক্টরে উন্নয়ন রয়েছে। তবে এই উন্নয়নের পাশাপাশি কিছু অস্বস্তির কারণও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দু-একটি ছোটখাটো ঘটনার কারণে অগ্রযাত্রায় অস্বস্তি এনে দেবে, তা চাই না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্বলতার কারণে আমরা বার বার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছি।
শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো, এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। যে অব্যবস্থাপনা হয়েছে, তা দ্রুত দূর করে জনগণের মধ্যকার অস্বস্তিকে দূর করে সরকারের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে উদ্যোগ নেবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং খাতে কিছু অব্যবস্থাপনার কারণে বার বার আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছি। আশা করবো, মন্ত্রীসহ ব্যাংকিং সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা দ্রুত এদিকে নজর দেবেন। অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠবেন। আমরা চাই না- কোনও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশের মানুষের ভোগান্তি হোক। সরকার বিব্রতর অবস্থায় পড়ুক।’
খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সমালোচনা করে সরকার দলীয় এই এমপি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তার ছেলেরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। তাদের বিনিয়োগের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এই বিষয়টি তদন্ত করে মামলা হওয়া উচিত। সরকারকে বলবো, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনা হোক। খালেদা জিয়া কেবল নিজেই দুর্নীতিবাজ নন। তার পুত্রও দুর্নীতিবাজ। তার স্বামীও ছিলেন দুর্নীতিবাজ।’
খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের হুমকি-ধমকি দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আন্দোলন করে কোনও দুর্নীতিবাজ ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্ত করা যায় না। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি করতে হলে আপনাদের আইনি প্রক্রিয়ার সহযোগিতা নিতে হবে।’
বিএনপি নেতারা দেশের মানুষের জন্য নয়, একটি দুর্নীতিবাজ পরিবারকে রক্ষার জন্য রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেন হানিফ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বলবো, ‘সঠিক অর্থে রাজনীতি করতে চাইলে দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব পরিবর্তন করুন। তাদের বাদ দিয়ে পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব নিয়ে আসুন। তাদের নিয়ে নতুন করে আপনারা দল সাজান। তাহলে জনগণ হয়তো ভবিষ্যতে আপনাদের সমর্থন দিতে পারে।’