জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। তবে নিম্ন আদালতের নথি আসার পর এ বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন শুনানি শেষে একথা বলেন।
এদিন, বিকেল সাড়ে ৩টার পর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর দুই বিচারক নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলেন, ‘নিম্ন আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেয়া হবে।’ এর আগে, গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতের নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এবং কারাবন্দী খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানাও করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগার ভবনে। সেই দিন থেকে এখনো কারাগারেই রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর গত সোমবার বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফাইড কপি বা অনুলিপি হাতে পান। পরদিন মঙ্গলবার বিকেল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জিয়ার আইনজীবী দলের সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আপিল (ক্রিমিনাল আপিল নং- ১৬৭৩/১৮) দায়ের করেন। এরপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়।