সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার পদ যোগ্য প্রার্থীদের অভাবে পূরণ করা না গেলে তা মেধাতালিকা থেকে পূরণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কোটা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, কেউ ভাবতে পারে যে এ সিদ্ধান্তে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, তাদের পদ সংরক্ষিতই থাকছে। কিন্তু কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া গেলেই কেবল মেধাতালিকার ওপরের দিক থেকে সেখানে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে।
গত মঙ্গলবার সরকার কোটাব্যবস্থা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভ্রান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সচিব বলেন, বিভিন্ন সময়ে এভাবেই পূরণ করা হতো। এখন যেহেতু বিষয়টি বারবার আলোচনায় আসছে, তাই যাতে বারবার ফাইল চালাচালি করতে না হয়, সেই সমাধান করা হয়েছে। এর ফলে মোট শূন্য পদ কমে যাবে বলে মনে করেন সচিব।
বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় নিয়োগ হয়। এই কোটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিভিন্ন সময় চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য সুপারিশ হলেও তা করা হয় না। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসা ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ’ পাঁচ দফা সংস্কারের দাবি করছে। সেগুলো হলো কোটাব্যবস্থা ১০ শতাংশে নিয়ে আসা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ পরীক্ষা না নেওয়া, সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা।