বন্যার কারণে বেড়ে যাওয়া সবজির বাজার এখনও চড়া। তবে মাসখানেকের মধ্যে প্রায় তিনগুণ হওয়া পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ।
বেশিরভাগ বাজারেই পেঁয়াজের দম কমেছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকার মতো। মিরপুর-২ নম্বরের বড়বাগ কাঁচাবাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ এদিন বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।
জুলাইয়ের শেষভাগে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকার উপরে ওঠে। এক পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকায়ও বিক্রি হয় পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দামও সমানতালে বাড়ে।
গত দুই-তিন ধরে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে বলে মিরপুর-২ নম্বরের মাহমুদ স্টোরের পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান।
ঢাকায় পেঁয়াজের প্রধান পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের নগর বাণিজ্যালয়ের পরিচালক মো. আব্দুল মজিদ মিয়াও বলেন, গত দুই দিনে পেঁয়াজের দাম অনেকাংশে কমে গেছে, কোরবানি ঈদের আগে আরও কমবে।ভারত থেকে আসা পেঁয়াজের দামও কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমদানি হওয়া পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন তারা।
সবজির দাম নিয়ে অসন্তোষ
শীতকালীন কিছু সবজি আগেভাগে বাজারে পাওয়া গেলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। বিক্রেতারা বলছেন, বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে সবজির দাম কমছে না।
শুক্রবার মিরপুর, মহাখালী, মোহাম্মদপুরসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে বিভিন্ন সবজির প্রায় একই রকম দাম দেখা যায়। তবে আকার-আকৃতি ভেদে দামে কিছুটা হেরফের রয়েছে।মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজারে শিম কেজি প্রতি ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৫৫ টাকা এবং প্রতিকেজি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। আকারভেদে একেকটি লাউ ও চালকুমড়া বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬৫ টাকায়।
মিরপুর-১ নম্বর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা বশির বলেন, “দাম বাড়ায় সবজির আইটেম কমাইয়া দিছি। পাইকারি বাজারে কালো গোল বেগুনের কেজি ১০০ টাকা করে হওয়ায় আনি নাই।”
সবজির দাম এত বেশি হওয়ায় কিছু দিন কাঁচাবাজারের তালিকায় সবজি কমিয়ে দেওয়ার কথা জানান মিরপুর-২ নম্বরের বাসিন্দা আতিক।