শেষ মুহূর্তে ২৪ ঘন্টার জন্য স্থগিত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

0
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১

দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোররাত ৩টা ৪৭ মিনিট) ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণের মহাকাশের পথে ছুটে যাওয়ার কথা থাকলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়।

তবে কি কারণে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ সম্ভব না হওয়ায় এদিন আর উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে না বলে স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর বদলে ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৪টা ১৪ মিনিট থেকে ৬টা ২১ মিনিটের (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে ভোররাত ৪টা ২১ মিনিট) মধ্যবর্তী যে কোনো সময়ে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে বলেও প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে উৎক্ষেপণ স্থগিত হওয়ার পর এক টুইটে স্পেসএক্স জানিয়েছে, ‘রকেট ও পেলোড ভালো অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার ব্যাপআপ ডে’তে ৪টা ২১ মিনিটে (ফ্লোরিডা সময়) স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের জন্য দল কাজ করছে।’

মহাকাশে উৎক্ষেপণের আগে গত শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের যান্ত্রিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় অরল্যান্ডোতে কেনেডি স্পেস সেন্টারে এ পরীক্ষা চালানো হয়।

পরীক্ষা শেষে স্পেসএক্স এক টুইটে জানায়, উৎক্ষেপণের আগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এটি কার্যকর আছে। এর আগে কয়েকবার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ পেছানো হয়। সর্বশেষ ৭ মে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারিত ছিল।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালের অক্টোবরে। এর পর গত ডিসেম্বরে এর সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে ওড়ার উপযোগী ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বৈরী আবহাওয়া এবং আরও কিছু যুক্তিযুক্ত বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করবে। এর ফলে দেশের সম্প্রচার খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়সহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ হবে।