তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিবাচিত হওয়ায় রেসিপ তাইপ এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আপনার পুনর্নিবাচিত হওয়ার খবর শুনে আমি খুশি হয়েছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন হচ্ছে, আপনার প্রতি তুরস্কের জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের একটি পরীক্ষা। এই খুশির মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ এবং তুরস্কের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। সূফিবাদের কালোত্তীর্ণ ঐতিহ্য আমাদের দু’দেশের জনগণকে ঘনিষ্ট করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯২২- ২৩ সালে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে মাতৃভূমি রক্ষায় সেদেশের জনগণের বীরোচিত কর্মকান্ড বাংলাদেশের জনগণ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের ঘটনাও আপনি অবহিত আছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের একটি সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশের জনগণ যে মুহূর্তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক একই সময়ে আপনার নেতৃত্বে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ তুরস্ক দেখে আমরা আনন্দিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণ কাঙ্খিত শান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় হাতে হাত রেখে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি এরদাগোনের ব্যক্তিগত সহযোগিতার উল্লেখ করে এই নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষগুলোর প্রতি তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার এবং জনগণ বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় শিগগির রোহিঙ্গা শরনার্থীরা একটি নিরাপদ পরিবেশে মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।