স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক, আমরা মর্মাহত। প্রধানমন্ত্রীও দুঃখ পেয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন। যার কারণে তিনি আমাকে পরিবারটির খোঁজখবর নেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি খুবই কঠোর। এদিকে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং রাজধানীর অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ধরার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআরটিএ ও বিআরটিসিসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা শহরের বর্তমান গণপরিবহনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অবৈধ গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে এবং বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএ ও ডিএমপিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এরআগে গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষির পর একটি বাসের চাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আবদুল করিম রাজিব। এছাড়া আরও অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে টানা ৩ দিন সড়কে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় রাজধানীর অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অবৈধ চালকদের ধরার নির্দেশ দিল।
গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বাসচাপায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়েছিলেন তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানাতে। সেখান থেকে ফিরে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা বা পাল্লাপাল্লি করা, যে কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটুক তা খুঁজে বের করা হবে। এ নৈরাজ্যের প্রতিকার হওয়া উচিত।