অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার হজযাত্রীর হজে যাওয়া

0
অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৬ হাজার হজযাত্রীর হজে যাওয়া

অব্যাহত ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে কয়েক হাজার হজযাত্রীর সৌদি আরব পৌঁছানো নিয়ে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তাও বাড়ছে। শেষ সময়ে বহু হজযাত্রীর ভিসা-টিকিট হাতে থাকার পরও উড়োজাহাজে উঠতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

প্রতিদিনই অসাধু এজেন্টদের প্রতারণার কারণে হজযাত্রী সঙ্কটে বাতিল হচ্ছে হজ ফ্লাইট। গত ১০ দিনে ১৫ টি ফ্লাইট আকাশে ওড়েনি। ফলে দেখা দিয়েছে বিমানের ভয়াবহ ফ্লাইট বিপর্যয়। এসব ফ্লাইটে মোট ৬ হাজার ১০০ হজযাত্রীর সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে, সৌদি অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ বিমানকে নতুন আর স্লট (বিমান ওঠা-নামার অনুমতি) দেবে না।

হজযাত্রীদের ভিসার আবেদন করার শেষ সময় ছিল আজ মঙ্গলবার। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রায় চার হাজারের মতো হজযাত্রীর ভিসার জন্য ডিও গ্রহণ করেনি ৬৮টি এজেন্সি। গতকাল সোমবার এ জন্য এসব এজেন্সিকে আশকোনা হজ অফিসে শুনানির জন্য ডাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে সাড়া দেয়নি সবাই।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষ আগামী ২০ আগস্ট হজ অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমানের হজ ফ্লাইট চলবে আর ৮ দিন। ১৫ আগস্ট বিমানের শেষ ফ্লাইট সৌদি আরব যাওয়ার কথা। ফ্লাইট বিপর্যয় ঠেকাতে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের ১৫ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টের দাবি মেনে নিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। তারপরও এজেন্টরা সরকারকে সহযোগিতা করছে না বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান।

এই বিষয়ে বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, এখনো বিমানের পাঁচ হাজারের বেশি টিকিট অবিক্রীত রয়ে গেছে। এ বছর ভিসা পাওয়ার আগেই বিমানের টিকিট নিশ্চিত করার বিধান হওয়ায় আমরা হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার ৫০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করি। এরপর বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকদের বারবার টিকিট কিনতে তাগাদা দিয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনো সব টিকিট কাটেনি। এ কারণে ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি।