কোন বাড়িতে বাড়িতে গরু কিংবা গরুর খামার আছে তা সেই বাড়ির খড়ের গাদা দেখে চিনে নিতো বাবা-ছেলে। খোঁজার দায়িত্ব পালন করা হতো মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে। খোঁজাখোঁজির পর গরুর খামার রেকি করতো এই বাবা-ছেলে। পরে সময় সুযোগ বুঝে এক রাতে চলতো গরু চুরির অভিযান। গরু চুরির সময় পিকআপ ট্রাকের চালক থাকতেন বাবা আর হেলপার হতেন ছেলে। এমন বাবা-ছেলেসহ আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটকের সময় পিকআপ ট্রাক, দুইটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাসহ এদের আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর হাজীগঞ্জ থানা কমপ্লেক্স এলাকায় প্রেস ব্রিফিং করে পু্লিশ। ঘটনা বিস্তারিত তুলে ধরেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মামমুদ পিপিএম।
তিনি জানান, আমরা গরু চোর চক্রের তিনটি গ্রুপকে শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর গ্রুপ, লিটন গ্রুপ ও খলিল শেখ গ্রুপ চুরিতে বেশ সক্রিয়। এরা দলে ভাগ হয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে গরু চুরি করে। প্রথমে মোটর সাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যখড়ের গাদা থাকা বাড়িতে প্রবেশ করে গরুর খামার রেকি করে। এর পর সুযোগ বুঝে কয়েকজন মিলে পিকআপ ট্রাক নিয়ে গরুর খামারে হাজির হয়। এরপর গরুর কেউ লেজে ধরে, কেউ গলায় ধরে, কেউ গরুর গায়ে মালিশ করে গরুকে ট্রাকে তুলে পা বেঁধে ট্রাকের ভিতরে চম্পট দেয়।
আটককৃতরা হলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের মল্লিক বাড়ির মৃত রেনু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৪৫), চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার গাবুয়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে শরিফ হোসেন (২৪) ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাকিব (২০), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সুরিখোলা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে সজিব (২৬)। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও সাকিব পিতা পুত্র।