জন্মের আগেই নিশ্চিত ডাক্তাররা হয়েছিলেন ভূমিষ্ঠ হতে যাওয়া সন্তান স্বাভাবিক নয়। এরপরেও আশায় ছিলেন জলিল-শারমিন দম্পতি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না দুই মাথা, তিন পা-যুক্ত নবজাতকটিকে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বরিশাল নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি মারা যায়।
জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের আ. জলিলের স্ত্রী শারমিন (৩৫) গর্ভধারণের পাঁচ মাস পর পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন, তার অনাগত সন্তানের দুটি মাথা ও দুয়ের অধিক পা রয়েছে। অবশ্য এর আগে পিরোজপুরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরীক্ষার পরে চিকিৎসক বলছিলেন যমজ সন্তানের কথা।
তবে গর্ভের সময়সীমা পার হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গাইনি চিকিৎসক তানিয়া আফরোজের তত্ত্বাবধানে বরিশাল নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে দুই মাথা, তিন পা ও দুই হাতযুক্ত ওই নবজাতকটির জন্ম হয়।
প্রসবের পর বাচ্চাটির নড়াচড়া না থাকলেও মল ত্যাগ করে। এরপর সেখানকার চিকিৎসকেরা দ্রুত শিশুটিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই সদ্যোজাত শিশুটি মারা যায়। তবে মা সুস্থ আছেন।