বুধবার (১৪ জুলাই) গভীর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় বাংলা বিভাগের একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিভাগীয় শিক্ষকদের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত ওই কক্ষটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারো জানের ক্ষতি আল্লাহর রহমত না হলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা, একটি ফ্যান ও বৈদ্যুতিকসংযোগ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের সাথে কথা বললে জানা যায়, গত ২৮ জুন লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে ওই অফিস কক্ষটি এতোদিন যাবত বন্ধ ছিল। কিন্তু এর আগে কেউ হয়তো ভুলবশত সেখানকার একটি ফ্যান চালু রেখে যান। যার ফলে একটানা দীর্ঘদিন যাবত ফ্যানটি চলতে থাকায় তপ্ত হয়ে ওইদিন রাতে ১১টার পর হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়।
কক্ষটি তালাবদ্ধ ও অন্ধকার থাকার কারণে ফ্যান চালু থাকার বিষয়টি আগে কারো নজরে আসেনি। বুধবার রাতে হঠাৎ দরজার নিচ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা তালা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করে। এরপর আগুনে বিভিন্ন জিনিস পুড়তে দেখে তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে দ্রুত আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
বৃহস্পতিবার সকালে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিরাপত্তারক্ষীরা আগুন লাগার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবহিত করি। তবে তাদের সহায়তা নেওয়ার আগেই আমাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার মাধ্যমে ওই কক্ষের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।”
