১ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এটি ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ সংরক্ষণের জন্য এই ২২ দিন মাছ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি কার্যকর করতে নৌ পুলিশ বদ্ধ পরিকর।
গত বুধবার রাজধানীর পাইকপাড়ায় নৌ পুলিশের সদর দফতরে নদী এলাকায় পুলিশের গৃহীত ব্যবস্থা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নৌ পুলিশের প্রধান ডিআইজি শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম, মাহবুবর রহমান, পুলিশ সুপার এহসান উল্লাহ, মোফাজ্জেল হোসেন, জমশেদ আলী ও সুব্রত কুমার হালদার।
সভায় এই ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ করতে জনসচেতনতা বাড়াতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইলিশ প্রজনন মৌসুমে দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিয়ম নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে নৌ পুলিশ। এর পাশাপাশি স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করবে নৌ পুলিশ। এই অভিযান রাতেও পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধেও নৌ পুলিশের টহল জোরদার থাকবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জারি করা এক আদেশে বলা হয়, প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত২২ দিন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করে। সরকারের এই আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।