টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বরগুনায় আপাতত কয়েকদিনের জন্যে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে নতুন করে টিকার বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের নিকট আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার সিভিল সার্জন।
জানা যায়, বরগুনা সদর হাসপাতাল কেন্দ্র ও সিভিল সার্জন অফিসে টিকার মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় এ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পাথরঘাটা ও আমতলীতে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় এসকল কেন্দ্রে টিকা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া জেলার অন্য দুই উপজেলা বামনা ও বেতাগীতেও টিকার মজুদ প্রায় শেষ পর্যা্যে রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিতে এসে না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান খালি হাতে ফিরে যাওয়া ওই সকল টিকাপ্রত্যাশীরা। জান যায়, তারা প্রত্যেকেই টিকা পাওয়ার মেসেজও পেয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, টিকা মজুত থাকতে থাকতেই তারা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করেছিলেন এবং তিনদিন আগেই বরগুনায় টিকা আসার কথা ছিল। কিন্তু টিকা না আসায় এবং টিকা শেষ হওয়ায় আপাতত টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, টিকার বরাদ্দ চেয়ে আবারো নতুন করে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করেছেন। টিকা আসার পর খুব শীঘ্রই বরগুনায় আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য এ পর্যন্ত বরগুনায় এক লাখ ১০ হাজার ৮৬০ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে; যার মধ্যে ভারতের কোভিশিল্ডের ছিল ৪৭ হাজার ২৬০ ডোজ এবং চীনের সিনোফার্মের ৬৩ হাজার ৪৮০ ডোজ।