বগুড়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অপারেশনের পর মশিউর রহমান মিলু (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যান ডাক্তার ও নার্স।
সোমবার রাত ১০টার দিকে শহরের কলোনী এলাকায় রেইনবো কমিউনিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মশিউর রহমান মিলুর মৃত্যু হয়। তিনি সুলতানগঞ্জ পাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। শহরের বড়গোলায় ঢেউটিনের ব্যবসা করতেন তিনি।
সোমবার দুপুরের পর মশিউর রহমানকে রেইনবো কমিউনিটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাফর সাদিক তার অপারেশন করেন।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ডাক্তার অপারেশন করে চলে যাওয়ার পর রাত ৯টার দিকে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এসময় ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। এনিয়ে ক্লিনিকের কর্মচারীদের সাথে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হয়। এসময় রোগীর স্বজনরা হৈচৈ শুরু করলে স্থানীয়রাও ক্লিনিকে ভিড় জমান। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যান ক্লিনিকের চিকিৎসক-নার্স। পরে রাত ১০টার দিকে রুপক নামে ক্লিনিকের একজন কর্মচারী অ্যাম্বুলেন্স ডেকে রোগীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে সাহায্য করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ক্লিনিকের অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেইনবো কমিউনিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউছুল আজম সন্ধ্যার পর থেকে ক্লিনিকে থাকলেও হৈচৈ শুরু হলে তিনি চলে যান। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
শহরের বনানী পুলিশ ফাাঁড়ির সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, “তারা ক্লিনিকে পৌঁছে ডাক্তার, নার্স কাউকে পাননি। রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে রোগীকে মেডিকেলে পাঠানো হয়।”