শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা থেকে না সরার আহ্বান

0
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা থেকে না সরার আহ্বান

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার যে পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে, তা থেকে কোনোভাবেই না সরার আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আর কোনো প্রহসন, প্রতারণা নয়, সরকারের অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দায় স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে নানা ধরনের অপকর্ম করা হচ্ছে। এই অপকর্মেও প্রতি নজর না দিয়ে বরং এখান থেকে চোখ সরানো হচ্ছে, আন্দোলনের ভয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাই অতি দ্রুত খুলে দেওয়া প্রয়োজন।

রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫.১ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন। একই সময়ে, মুনাফালোভী মালিকদের সরকারও করোনাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল সমস্যার কোন দেখভাল না করেই উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ সব বন্ধ রেখেছে সরকার। মেডিকেল শিক্ষার্থী, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনলাইনে কোনোভাবেই দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতিপূরণ সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এরই প্রথম পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব কিছু এখনি খুলে দেওয়া।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, মানুষের জীবন ধারণের ৫টি মৌলিক শর্তের সবগুলোই খোলা রেখে মানুষ জীবন নির্বাহ করে। বাংলাদেশে করোনাকালে চারটি মাত্র শর্ত পূরণ করা হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা লাভের যে মৌলিকতা, সেটা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। করোনা এখনই পৃথিবী থেকে চলে যাবে না, একে নিয়েই আমাদের এই নব্য স্বাভাবিকতায় বসবাস করতে হবে।

অনিক রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রাগিব নাঈম। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও ইমতিয়াজ মাহমুদ, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি নেতা ক্বাফি রতন, শিক্ষা আন্দোলন কর্মী রাখাল রাহা বক্তব্য রাখেন।