লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে দিনমজুর মো. ইউসুফ ও তার স্ত্রীকে মারধর মামলায় পৌরসভার কাউন্সিলরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাহার, আরিফ হোসেন, আবদুল লতিফ, রাজিব হোসেন, মো. মানিক ও আরিফ হোসেন।
বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে আদালত মামলার সত্যতা পাওয়া গেছে। এতে আদালতের বিচারক ওই ৫ আসামির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. দুলালকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইউসুফের সঙ্গে অভিযুক্তদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে রবিবার বিকেলে অভিযুক্ত আরিফ, রাজিব, মানিক ও লতিফ মিলে ইউসুফকে মারধর করে। এসময় ইউসুফকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকেও মারধর করা হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পথে মামলার দ্বিতীয় আসামি কাউন্সিলর বাহার তাদের গতিরোধ করেন। গালমন্দ করার অভিযোগ এনে বাহার তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে৷ এতে ইউসুফের ডান চোখ জখম হয়।
এ ঘটনায় ইউসুফ বাদী হয়ে আদালতে ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী দিনমজুর মো. ইউসুফ জানান, কাউন্সিলর বাহার অন্য আসামিদের কাছের লোক। এজন্য হাসপাতাল যাওয়ার পথে আবার কাউন্সিলর আমাকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বাহার গণমাধ্যমকে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি মোটেও সত্য নয়। সালিশে তাদের ঘটনাটি মিমাংসা করে দিয়েছি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।