কিস্তি না পাওয়ায় গ্রাহককে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দিলেন এনজিও কর্মকর্তা

0
কিস্তি না পাওয়ায় গ্রাহককে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দিলেন এনজিও কর্মকর্তা

নোয়াখালীর পৌর এলাকায় কিস্তির টাকা না পেয়ে মো. বাদশা (৩৫) নামের এক গ্রাহককে দেধড়ক পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুইজন এনজিও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

বুধবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার গোপাই গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মো. বাদশা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিসের শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন ও কিস্তি আদায়কারী গোলাম কিবরিয়ার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন মো. বাদশার স্ত্রী ফাতেমা বেগম।

ফাতেমা গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছরের আগস্টে এসএসএস নামক এনজিওর উজিয়ালপুর সদর শাখা থেকে ৩০ হাজার টাকা কিস্তিতে ঋণ নেওয়া হয়। নিয়মানুসারে, প্রতি সপ্তাহে ৮০০ টাকা করে ৪৬ কিস্তিতে মোট ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে কিস্তির প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।

ফাতেমা আরও জানান, বুধবার টাকা না থাকায় সাপ্তাহিক কিস্তির ৮০০ টাকা আমরা দিতে পারিনি। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এনজিও এর কর্মকর্তারা। অল্প সময়ের মধ্যে টাকা আসলে দেওয়া হবে জানালেও তারা স্বামীর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় তারা জড়িয়ে পড়েন। তর্কের একপর্যায়ে তাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেন ওই কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. বাদশা গণমাধ্যমকে জানান, শাখা ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর তাকে প্রথমে থাপ্পড় মারলে তিনি নিচে পড়ে যান। এরপর মাটি থেকে উঠতে গেলে আবার লাথি দিয়ে পুনরায় মাটিতে ফেলে দেন গোলাম কিবরিয়া। দ্বিতীয়বার পড়ে যাওয়ায় আমার বাম হাত ভেঙে যায় এবং পা’সহ শরীরের কয়েকটি স্থানে জখম হয়। পরে পরিবারের লোকজন আমাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার সকালে এসএসএসর নোয়াখালী সদরের উজিয়ালপুর শাখায় গিয়ে ব্যবস্থাপক আলমগীরের খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু কিস্তি আদায়কারী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ওই গ্রাহক তাদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করায় অনিচ্ছাকৃতভাবে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
Attachments area