গত ২৩ জুলাই প্রকাশিত হয়ে গেলো ফল বিপর্যয়ের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। গত যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের ফলাফল হয়েছে অন্যরকম। কমেছে পাশের হার, পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে জিপিএ ফাইভের হার ও। অকৃতকার্য হয়েছে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। বোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হয়েছে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে। অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীর কেউ কেউ বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ। এ পর্যন্ত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এ মোট ১১ জন আত্মহত্যা করেছে।
তার মধ্যে একজন লিখে গেছে সুইসাইড নোট
কুমিল্লা বোর্ডের মৃত ১১জনের মধ্যে একজনের সুইসাইড নোট :
“আগামি বছর আবার পরীক্ষা দিবো।
মা, বাবাকে বুঝাইছি।
সবাই স্বাভাবিক ছিলো, আমিও। কিন্তু একের পর এক প্রতিবেশী সহপার্ঠীরা মিষ্টি আর কথার খোঁচা নিয়ে হাজির হতে লাগলো। আমার মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গেলো।।বাবা ও আমাকে গালিগালাজ করলো। যে মা বাবা গতকাল আমার মাথায় হাত রেখে বলছিলো চিন্তা করিস না,বুড়ো হয়ে যাস নাই। সামনের বার আবার পরীক্ষা দিস, বছর যাইতে কয়দিন।
.
অথচ, প্রতিবেশীদের মিষ্টি পেয়ে সেই বাবা মা আমাকে জুতা দিয়ে পিটালো,
শুধু তাই নয়, আমার উপর রাগ করে বাবা
পাতের ভাত লাথি মেরে ফেলে দিলো।
অনেক চেষ্টা করেছি লুকিয়ে থাকার, পারলাম না। প্রতিবেশীরা এক হাত জিহ্ববা বের করে অনুশোচনা করলো,
শুধু অনুশোচনা নয়, আমার জন্য নাকি আমার মা দায়ী। মায়ের আস্কারা পেয়ে আমি নষ্ট হয়ে গেছি। তাদের কৈফয়ত পেয়ে আমার বাবা মা কে উঠানে প্রচুর মেরেছে। মা এখনো বেহুঁশ।
মার জ্ঞান ফিরার আগেই পৃথিবীকে বিদায় জানালাম।
ভালো থাকবেন প্রতিবেশীরা
ভালো থেকো সহপার্ঠী বন্ধুরা।।”
হায় সমাজ হায় মানবতা! আর কত প্রাণ যাবে এভাবে? আর কত প্রাণ এভাবে অকালে ঝরে গেলে জেগে উঠবে সমাজের বিবেক?