ফ্লাইওভার জাতীয় সম্পদ, ব্যবহারে যত্নবান হোন: প্রধানমন্ত্রী

0
ফ্লাইওভার জাতীয় সম্পদ

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার পুরোপুরি খুলে দেওয়া হলো। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

ফ্লাইওভার জাতীয় সম্পদ

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের প্রতি অনুরোধ, ব্যবহারে যত্নবান হবেন। ট্রাফিক রুল মেনে চলবেন। জাতীয় সম্পদ মনে রেখে সেটা ব্যবহার করবেন।

রাজধানীর মৌচাক মোড়ে প্যান্ডেল তৈরি করে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন দেখানো হয়েছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপারেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণিসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ১৫ স্থানে উঠানামার ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো হলো তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং শান্তিনগর মোড়। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার।

ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ হয়েছে তিন ভাগে। একটি অংশে রয়েছে সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি পর্যন্ত, আরেকটি অংশে শান্তিনগর-মালিবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত এবং শেষ অংশটি বাংলামোটর-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত। এর মধ্যে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত অংশটি প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ ফ্লাইওভারের ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আর ফ্লাইওভার থেকে সোনারগাঁও হোটেলের দিকে নামার র‌্যাম্পটি গতবছর ১৭ মে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এর নির্মাণ কাজ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে