কেশবপুরের একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে এক জামায়াত নেতার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেশবপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের জামায়াত নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের বরণডালি গ্রামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
খবর পাওয়া যায়, এই জামায়াত নেতার ভাতিজাসহ দুজন ওই ছাত্রীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে নির্যাতিতরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওইদিন যৌন নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কথা বলে মাদ্রাসা থেকে তাদের ডেকে নিয়ে যায় নূরুল ইসলামের ভাতিজা ও তার এক বন্ধু।
মাদ্রাসা থেকে কিছুটা দূরে সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের বাড়ি। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দুটি কক্ষে চেয়ারম্যানের ভাতিজা বরণডালি গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন ও আজগর আলী দফাদারের ছেলে আমিনুর রহমান ছাত্রীদের আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে না আসায় এক ছাত্রীর বাবা বিষয়টি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আজগার আলী ওরফে ভুট্টকে বলেন। এর পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্যাতিতাদের গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গ্রামে উদ্ধার করা হয়।
নির্যাতিত একজনের বাবা বলেন, ধর্ষকরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের পাশে সাহায্যের জন্য কাউকে পাচ্ছেন না।
সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি বরণডালির বাড়িতে থাকেন না। কেশবপুর শহরে বাসা ভাড়া করে থাকেন। শুক্রবার সকালে তিনি ঘটনা শুনেছেন।’
তিনি আরও জানান, ‘ওই বাসায় তার ভাই মফিজুর রহমান থাকেন। স্ত্রীর সন্তান হবে বলে তিনিও বাড়িতে নেই। এই সুযোগে কোনো অঘটন ঘটতে পারে।’
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আবদুস সামাদ বলেন, ‘ঘটনা সত্য। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
নির্যাতনের শিকার এক ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে মেয়ে ছুটি চাইলেও তাকে জানানোর কথা। মেয়েদের বই মাদ্রাসায় পড়ে থাকলো অথচ কোনো শিক্ষক জানতেও পারলেন না বা খবর নিলেন না।’
তিনি জানান, যশোর থেকে ডাক্তারি পরীক্ষার সনদ আসলেই মামলা করবেন। ধর্ষকদেরসহ যাদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে তাদের বিচার চান তারা।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘তিনি ছুটিতে ছিলেন। ঘটনা শোনার পর দ্রুত এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছেন। এখনও থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।