রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বিপরীত পাশের গলির একটি বাড়িতে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন- মা শামছুন্নাহার (৪৬) ও তার ছেলে শাওন (৭)।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের ফ্ল্যাটে খুন হন তারা। কাকরাইলের রাজমণি-ইশা খাঁ হোটেলের বিপরীত পাশে তলা গলির ৬ তলা একটি ভবনের ৫ তলায় থাকতেন তারা। বাড়ির নম্বর ৭৯/১, পঞ্চমতলা কাকরাইল।
ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক ও গৃহকর্তা আবদুল করিম তখন বাসার বাইরে ছিলেন। তিনি পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আঁদা-রসুন-পেঁয়াজ আমদানিকারক।
পুলিশ জানায়, মাগরিব নামাজের সময় কে বা কারা এ বাড়িতে ঢুকে কাজের মেয়েকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। এরপর মা ও সন্তানকে হত্যা করে চলে যায়। ঘটনা সম্পর্কে জানতে বাসার দারোয়ান ও কাজের মেয়েকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, নারীর মরদেহ বেডরুমে উপুর হয়ে শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। আর চতুর্থ তলার সিঁড়িতে উপুর হয়ে শোয়া অবস্থায় ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে।
বাসার কাজের মেয়ে বলেন, সন্ধ্যায় তিনি রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। তখন কেউ একজন বাসায় আসলে শামসুন্নাহার দরজা খুলে দেন। অজ্ঞাত ওই লোক রান্নাঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। এরপর তিনি শামসুন্নাহারের বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুনতে পান। পরে বাসার দারোয়ান এসে রান্নাঘরের দরজা খুললে তিনি সেখান থেকে বের হন।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, ছয়তলা বাসার পঞ্চমতলায় তিনটি রুম নিয়ে তারা থাকতেন। নিহত শামসুন্নাহারের তিন ছেলে। বড় ছেলে মুন্না লন্ডনে থাকে, মেজ ছেলে অনিক কানাডায় থাকে ও ছোট ছেলে নিহত শাওন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবদুল করিম, গৃহকর্মী রাশেদা বেগম ও একজন দারোয়ানকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।