কাঁচা হলুদের পাকা গুণ

0

‘হলুদ’ যা আমাদের নিকট সাধারণত মসলা হিসেবেই পরিচিত। হলুদকে রোদে শুকিয়ে মসলা উপযোগী করা হয়। কিন্তু কাঁচা অবস্থায় হলুদ অন্যতম ভেষজগুণী। প্রাচীনকাল থেকেই নানী দাদীদের মুখে কাঁচা হলুদ ত্বকে ব্যবহারের গল্প শোনা যায়।
কাঁচা হলুদ

আমাদের দেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে হলুদের ব্যবহার প্রচলিত। গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে নারীর রুপচর্চায়ও। আধুনিক কালে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি হলুদের তৈরি প্রসাধনী বিক্রি করলেও প্রাকৃতিক কাঁচা হলুদের গুণের চাহিদা আজীবনের।

★কাঁচা হলুদের গুণাবলি:

কাঁচা হলুদের গুণাবলি সম্পর্কে আমরা যুগ যুগ ধরে জেনে আসছি।
ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের তুলনা হয় না।
তাছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশে হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে ঔষধি হিসেবে পান করা হয়।

হলুদে আছে অ্যান্টি এজিং উপাদান,তাই ত্বক হতে বয়সের ছাপ দূর করতে হলুদের জুরি মেলা ভার।
আবার অন্যদিকে হলুদ অ্যান্টি সেপটিক হিসাবেও চমৎকার কাজ করে,তাই ব্রণ দূর করতে বা ক্ষত সারাতেও অতুলনীয়।
হলুদ ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে ত্বককে ভেতর থেকে সারিয়ে তোলে।

====>ব্রণ সারাতে হলুদের মতন চমৎকার প্রাকৃতিক উপাদান খুব কমই আছে। ব্রণের ইনফেকশন কমানো হতে শুরু করে ব্রণের দাগ দূর করা পর্যন্ত হরেক রকম ব্যবহার আছে এর
===>নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের প্রকোপ কমবে।
===>ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে |
===>বলিরেখা দূর করতে কাঁচা হলুদ মাখুন ফেস প্যাক হিসেবে।
===>রোদেপোড়া দাগ কমাতে|
===>যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে হলুদ মেশানো পানিতে গোসল করলে অ্যালার্জি ও র‍্যাশের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

★কাঁচা হলুদ সংরক্ষণের উপায়:
সাধারণ বালি মাটিতে হলুদ বেশি জন্মায়।
ঘরে বেশিদিন রাখলে শুকিয়ে রসহীন হয়ে যায়।
তাই বেশিদিন কাঁচা হলুদ তাজা এবং সতেজ রাখতে বালি ভর্তি পাত্রে পরিমিত তাপমাত্রায় রেখে দিন।
ফ্রিজেও ভাল থাকবে কাঁচা হলুদ।

লেখকঃ কুহু পরী

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে