মুগ্ধ হয়েছি। একেবারেই আমাদের মাটির ছবি। আছে শতভাগ বাঙালিয়ানা। আমার বাংলাদেশ যে কত সুন্দর তা আরেকবার দেখলাম সেলুলয়েডের পর্দায়। তিশা আর মোশাররফ করিমের মিষ্টি প্রেম, বিচ্ছেদের বেদনা দুইই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। প্রত্যেকের অসাধারণ অভিনয়ে ছবিটি ছিল শতভাগ জীবন্ত। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা হলেও বুঝতে অসুবিধা হয় নি বরং এর ফলেই ছবিটি যেন প্রাণ পেয়েছে।
এবার একটু কাহিনীর দিকে যাবো। স্পয়লার না।
প্রকৃতি আমাদের দু হাত ভরে দিয়েছে। কিন্তু আমরা তার কোন কদর করি না। অত্যাচার চলতেই থাকে। একসময় প্রতিশোধ নেয় প্রকৃতি। সে প্রতিশোধ বড় ভয়ংকর।
এর আদলেই প্যারালালি একটা পারিবারিক কাহিনী চলে। আমরা দেখি পারিবারিক রাজনীতিতেও অবলার উপর অত্যাচার কেমন কঠিন প্রতিশোধের জন্ম দেয়। হালদা নদীর প্রতিনিধিত্ব করে তিশা। হয়ে ওঠে প্রধান চরিত্র।
কাহিনী চলার গতি ধীর কিন্তু দেখতে ক্লান্তি লাগে না। প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ঘটনার ঘনঘটা কিঞ্চিৎ বেশী।
ডায়লগগুলো সুন্দর। দর্শকের মুহুর্মুহু জোর করতালি তার শক্তিশালী প্রমান।
আফসোস একটাই। প্রচারনা নাই। হল অর্ধেকেরও বেশী ফাঁকাই পড়ে ছিল। “শুক্রবার ফার্স্ট শো তাই হয়তো উপস্থিতি কম, নিশ্চয়ই সিনেমাটি দেখতে দর্শক আসবে” মনকে প্রবোধ দিলাম।
তাই যেন সত্যি হয়। দর্শক যাতে হলে যায়।
শুভকামনা নিরন্তর
লেখকঃ June Farhana