আটকে রেখে ৭ মাস ধরে ধর্ষণঃ প্রতারণার এক নিকৃষ্ট কাহিনী

0

টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর থানার রতনপুর গ্রামের এক পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে সেই গ্রমেরই দুই সন্তানের জনক বাদল মিয়ার। সেই পরিবারেরই এক কিশোরী সখীপুর মহিলা কলেজের ছাত্রী। ফেসবুকের মাধ্যমের সেই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে টাঙ্গাইলের এক যুবকের সাথে। এক পর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু পরিবারের কাউকে বলার সাহস না পেয়ে বাদল মিয়াকে জানায় মেয়েটি। বাদল মিয়া এ ব্যাপারে সাহায্যের আশ্বাস দেয়। বিনিময়ে সে কিছু টাকা চায়। নিজের জমানো টাকা ও মামার বাড়ি গিয়ে চুরি করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বাদল মিয়াকে দেয় মেয়েটি।  এবছরের ১১ জানুয়ারি ভোরে নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে গহনা নিয়ে বাদল মিয়ার সাথে বাড়ি থেকে চলে যায় মেয়েটি।

বাদল মিয়া মেয়েটিকে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। নানা অজুহাতে বিয়ের ব্যাপারে বিলম্ব করতে থাকে। এরপর খাবারের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে নির্যাতন।  এক পর্যায়ে মেয়েটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে খাওয়ার দেয়াও কমে যায়। দুর্বল হয়ে যাওয়া মেয়েটি পালানোর কোন পথ পাচ্ছিল না। হঠাৎ গত শনিবার সে পরিত্যক্ত বাড়িটির পাশে কয়েকজন শিশুকে খেলতে দেখে কিন্তু তাদের ডাকার মত শক্তি তার ছিলনা বলে জানায় মেয়েটি। পরদিন আবারো শিশুরা সেখানে খেলতে এসে মেয়েটিকে দেখতে পায়। এরপর শিশুদের কাছে খবর পেয়ে লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

       ধর্ষক বাদল মিয়া

উদ্ধার করার পর মেয়েটিকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।  পরে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির ভাই সোমবার বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে । এরপর বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্ট  করা হয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অভিযান চালিয়ে আসামি বাদল মিয়াকে মির্জাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, মেয়েটির প্রেমিক জানিয়েছে ফেসবুকে খুঁজে না পেয়ে জানুয়ারি থেকে তাদের মাঝে কোন যোগাযোগ হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে