
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুল হক আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডনের হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেনটিলেশন যন্ত্র) খুলে নেন। এরপর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান মেয়র আনিসুল হক। অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৩ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মস্তিষ্ক প্রদাহজনিত রোগ ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস’ ধরা পড়ে। দীর্ঘিদিন তিনি অচেতন অবস্থান আইসিইউতে ছিলেন।
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক মেয়র পদে জয়লাভ করেন। তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড, গাবতলীতে রাস্তাত পাশে অবৈধ বাস ট্রাক পার্কিং বন্ধ, পর্যায়ক্রমে সড়ক ও ফুটপাথ সংস্কার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছ্বেদ সহ নানা কারনে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
৯০-এর দশকে দশকে তরুন ব্যাবসায়ী হিসেবে সুনাম অর্জন করেন তিনি। সেসময় বিটিভিতে টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবেও কাজ শুরু করেন মিষ্টভাষী, সুদর্শন এই তরুণ। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পূর্বে বিটিভিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুখোমুখি আলোচনার একটি অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৮ সালে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি নির্বাচিত হন। সার্ক চেম্বারের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন আনিসুল হক।
১৯৫২ সালে নোয়াখালি জেলায় জন্ম আনিসুল হকের । তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
তাঁর স্ত্রী রুবানা হক একজন কবি এবং ব্যবসায়ী। এই দম্পতির তিনজন সন্তান রয়েছে।
আনিসুল হকের ভাই আবু হেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান।