প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র আনিসুল হককে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বনানীর বাসায় গিয়েছেন। বেলা পৌনে ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বনানীর ২৭ নম্বরের বাসায় এসে পৌঁছায়।
আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
ওই সময় সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হকের ভাই সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল শফিউল হক উপস্থিত ছিলেন। আনিসুল হকের লাশের সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী রুবানা হক ও ছেলে নাভিদুল হক।
গত ২৯ জুলাই স্ত্রীর সঙ্গেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে যান। পরে সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান এই গুণী ব্যবসায়ী নেতা ও টিভি ব্যক্তিত্ব।
বিমানবন্দর থেকে আনিসুল হকের মরদেহ তাঁর বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আগে থেকেই সেখানে হাজির ছিলেন প্রয়াত মেয়রের আত্মীয়স্বজন, বিপুল শুভানুধ্যায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ পর্ব সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। বাড়ির বাইরে প্রচুর সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছেন তাঁকে শেষবারের মতো দেখার জন্য। কিন্তু বাসায় ভেতরে শুধু নির্ধারিত মানুষদেরই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
শেষবারের মতো আনিসুল হকের লাশ নিজের বাসভবনে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়।
বাসা থেকেই তাঁর লাশ নিয়ে আসা হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সেখানে থাকবে লাশ। সেখানেই আসরের নামাজের পরই তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে সন্ধ্যার আগেই বনানী কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
সেখানে আনিসুল হকের মায়ের কবর আছে। সেখানে তাঁর পুত্র সন্তানের কবরও আছে। পুত্রসন্তানের কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা সেন্ট্রাল লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
